ঢাকা বিমানবন্দর
চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলন ও গণ আন্দোলনের কারণে ১৭ জুলাই থেকে ২২ জুলাই দুপুর পর্যন্ত প্রায় ৪৮ হাজার ৬০০ মানুষ বাংলাদেশ ত্যাগ করেছে। আন্দোলনকারীদের উপর পুলিশের ব্যাপক দমন নিপীড়ন ও সহিংসতার কারণে অনেকেই দেশ ছাড়তে শুরু করেন।
ইমিগ্রেশন পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক মনিরুল ইসলাম দ্য মিরর এশিয়াকে এর সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, ঢাকার শাহজালাল, চট্টগ্রামের শাহ পরান ও সিলেটের ওসমানী বিমানবন্দর দিয়ে উল্লেখিত যাত্রীরা দেশ ত্যাগ করেন।
এর মধ্যে ১৮ হাজার ৬০০ বিদেশী পার্সপোর্টধারী এবং ৩০ হাজার বাংলাদেশী পার্সপোর্টধারী যাত্রী রয়েছেন বলে ইমিগ্রেশন অফিস সূত্রে জানা গেছে। বিদেশী পাসপোর্টধারীদের মধ্যে অন্যদেশের নাগরিক ছাড়াও অনেক বাংলাদেশী বংশদ্ভূতরা ছিলেন। এসব যাত্রীদের মধ্যে অনেক রাজনৈতিক নেতা, সংসদ সদস্য, আমলা, সামরিক কর্মকর্তাদের পরিবারের সদস্যও রয়েছেন।
ইমিগ্রেশন পুলিশের ওই সূত্রটি জানায়, দেশে ইন্টারনেট বন্ধ থাকার কারণে কেন্দ্রীয় সার্ভারে এসব যাত্রীদের দেশ ত্যাগের তথ্য সংরক্ষণ না করে ম্যানুয়ালি সংরক্ষণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য আন্দোলন, দমন, পীড়নের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অনেক দেশ তাদের নাগরিকদের সতর্ক করেছিলেন। ভারত তার নাগরিবদের দেশে ফিরে যেতে বলে। যুক্তরাষ্ট্র নাগরিকদের জন্য সতর্কতা জারি করে।