মোঃ তাওহীদ হোসেন দীপ্র স্পোর্টস রিপোর্টার
বিস্তারিতঃ বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক ফুটবলের পর শুরু হয়েছে ঘরোয়া মৌসুম। এরই মধ্যে ফেডারেশন কাপের পর্দা নেমেছে। আগামী ১৩ জানুয়ারি থেকে শুরু হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) ফুটবল।
ফেড কাপের ফাইনালের পর দুই দিনের বিরতি দিয়েই মাঠে গড়াবে দেশের ফুটবলের শীর্ষ লিগ। বিপিএল শুরুর দিনক্ষণ চ‚ড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) কার্যনির্বাহী কমিটি। বৃহস্পতিবার বাফুফে ভবনে হয় নির্বাহী কমিটির সভা। কাজী সালাউদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় হওয়া অন্যান্য সিদ্ধান্তের মধ্যে রয়েছে জিমনেশিয়াম নির্মাণÑ যা কয়েকদিন আগে ঘোষণা দিয়েছিলেন বাফুফে সভাপতি।
ফুটবলারদের দীর্ঘদিনের চাওয়া ছিল একটা অত্যাধুনিক জিমনেশিয়াম। সালাউদ্দিন চতুর্থবারের মতো সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার দুই মাসের মধ্যেই জিম নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছেন। নির্বাহী কমিটির সভা অনুমোদন দিয়েছে জিমনেশিয়াম নির্মাণের পরিকল্পনা। এ ছাড়া ২০২০-২১ এবং ২০২১-২২ মৌসুমের ক্যালেন্ডারও চ‚ড়ান্ত করে ফেলেছে দেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। কিছুদিনের মধ্যে তা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করবে বাফুফে।
এদিন কার্যনির্বাহী কমিটির সভা ছিল মূলত ২০২০-২১ ও ২০২১-২২ মৌসুমের বর্ষপঞ্জি, জিমনেশিয়ামের অনুমোদন এবং প্রিমিয়ার লিগ শুরুর তারিখ নির্ধারণ নিয়ে। সব এজেন্ডাই পূর্ণতা পেয়েছে বৈঠকে। পাশাপাশি উঠে এসেছে ছুটিতে থাকা জাতীয় দলের কোচের প্রসঙ্গও। জেমি ডের প্রতি একটু কঠিন বার্তাই দিয়েছেন সভাপতি। সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে সালাউদ্দিন সোজাসাপ্টা বলে দিলেন, মাঠে বসে খেলা দেখতে হবে কোচকে।
দেশে করোনা আতঙ্কে ফুটবলের গত মৌসুম বাতিল করতে বাধ্য হয় বাফুফে। এরপর সময়ের ¯্রােতে দেশে ফিরেছে আন্তর্জাতিক এবং ঘরোয়া ফুটবল। ইতোমধ্যে নেপাল খেলে গেছে লাল-সবুজ দেশে এবং জামাল ভ‚ঁইয়ারাও কাতারে খেলে এসেছেন ২০২২ বিশ্বকাপ বাছাই ম্যাচ। তখন থেকেই দেশের ফুটবলাররা মুখিয়ে ছিল ঘরোয়া মৌসুম শুরু করতে। খেলোয়াড় এবং ক্লাবগুলোর চাওয়ার প্রেক্ষিতেই ঘোষণা করা হলো বিপিএল শুরুর তারিখ।
সভা শেষে সালাউদ্দিন বলেন, ‘এটা আমাদের রেগুলার মিটিং। তিন-চারটি বিষয় নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে; কবে খেলা হবে, লিগ হবে। জিমনেশিয়ামের অনুমোদন হয়েছে। আশা করছি, জানুয়ারি মাস থেকে কাজ শুরু হয়ে যাবে। ফেব্রæয়ারি থেকে একাডেমি শুরু হয়ে যাবে। ফেডারেশন কাপ শুরু হয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় লিগ, স্বাধীনতা কাপ হবে। এবং জাতীয় দলেরও বেশ কিছু প্রোগ্রাম আছে। ক্লাব ও জাতীয় দলের খেলার সঙ্গে সমন্বয় করে সূচি ঠিক করা হয়েছে। সবার সঙ্গে আলোচনা করে এটা করা হয়েছে। কারও কোনো আপত্তি নেই।’
এদিকে ফুটবলের ঘরোয়া মৌসুম শুরু হলেও এই মুহূর্তে দেশে নেই জেমি ডে। গত ৪ ডিসেম্বর স্বাগতিক কাতারের বিপক্ষে বিশ^কাপ বাছাইয়ের ম্যাচের পর জাতীয় দলের কোচ ছুটিতে যান জন্মভ‚মি ইংল্যান্ডে। বাছাইয়ের ম্যাচগুলো পরের বছরে চলে যাওয়ায় আপাতত খেলা নেই জাতীয় দলের এবং কোচও সময় কাটাচ্ছেন নিজ দেশে তবে বাফুফে সভাপতির চাওয়া কোচ দেশে ফিরে মাঠে বসে যেন খেলা দেখে। বাছাই করে নতুন শিষ্যদের।
সালাউদ্দিন বলেন, ‘খেলাগুলো যখন হয় তখন অনেক খেলোয়াড়ের পারফরম্যান্স আপ-ডাউন হয়। আমার মত হলো, কোচ যেন মাঠে বসে খেলা দেখে। ভিডিওতে দেখা আর সামনে বসে দেখা এক নয়। আমার অনুরোধ থাকবে টিম ম্যানেজমেন্টের প্রতি যেন কোচ যতদূর পারে এখানে থেকে খেলা দেখতে পারে।